
ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পণ্য পাচারে সহায়তার অভিযোগ উঠেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) সহকারী নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ রয়েছে, চীনের গুয়াংজু থেকে আগত দুই যাত্রীকে স্ক্যানিং ছাড়াই ভিআইপি লাউঞ্জ দিয়ে পণ্যসহ বেরিয়ে যেতে সহায়তা করেছিলেন তিনি।এ ঘটনায় বেবিচক পরিচালক (এভসেক পলিসি অ্যান্ড সার্টিফিকেশন) ইফতেখার জাহান হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. রাগিব সামাদ।
গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, চীন থেকে আসা যাত্রী মোহাম্মদ নেওয়াজ ও মাহমুদুল হাসান কোনো প্রকার স্ক্যানিং ছাড়াই বহির্গমনের চেষ্টা করছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তল্লাশি চালিয়ে তাদের হ্যান্ড লাগেজ থেকে ২৩৮টি অত্যাধুনিক মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। যার মধ্যে ছিল ১৫৭টি আইফোন, ৫০টি গুগল পিক্সেল ও ৩১টি স্যামসাং ডিভাইস।
কাস্টমস গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জব্দকৃত মোবাইল চালানটি আটক রাখা হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট যাত্রীদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তদন্ত চলমান রয়েছে।অভিযুক্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল লতিফ বলেন, “আমি পরিস্থিতির শিকার। মিডিয়ায় কথা বলা নিষেধ।”
তিনি স্বীকার করেন, সংশ্লিষ্ট দুই যাত্রী তার পরিচিত এবং তারা বিমানবন্দরের পাসধারী ছিলেন, যা পরে কর্তৃপক্ষ জব্দ করেছে।তদন্তসংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে, মো. আব্দুল লতিফ চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার আলমপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত রয়েছেন বলে গোয়েন্দা প্রতিবেদনেও উল্লেখ রয়েছে।