
চলমান রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে আজ শনিবার সন্ধ্যা ৭:৩০টায় বিএনপি’র একটি চার সদস্যের প্রতিনিধি দল স্টেট গেস্ট হাউস জমুনায় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে।
তবে, এই বৈঠকে বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের অনুপস্থিতি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনা চলছে।গণমাধ্যমের দৃষ্টি এখন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের উপর কেন্দ্রীভূত হয়েছে।
অনেকে মনে করছেন, মির্জা ফখরুলকে বাদ দিয়ে বিএনপি ইউনূসের প্রতি একটি ‘কৌশলগত প্রতিক্রিয়া’ দেখিয়েছে, যাকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ‘মাস্টারস্ট্রোক’ হিসেবে দেখছেন।প্রাপ্ত্য তথ্যমতে, বিএনপি’র প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। দলে অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সালাহউদ্দিন আহমেদ এবং মঈন খান। এই বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয় একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন।
বিএনপি’র এই প্রতিনিধি দলের গঠন নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নানা জল্পনা-কল্পনা চলছে। মির্জা ফখরুলের অনুপস্থিতিকে অনেকে দলের অভ্যন্তরীণ কৌশল হিসেবে দেখছেন। একজন বিএনপি নেতা নাম প্রকাশ না করে বলেন, “এটি ইউনূস সরকারের প্রতি একটি স্পষ্ট বার্তা। বিএনপি তাদের অবস্থান জানান দিতে চায় যে, তারা সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসলেও তাদের শর্ত ও দাবি মেনে নিতে হবে।”
গণমাধ্যমে সালাহউদ্দিন আহমেদের উপস্থিতি বিশেষভাবে আলোচনায় এসেছে। তিনি দলের একজন প্রভাবশালী নেতা হিসেবে পরিচিত এবং এই বৈঠকে তার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মির্জা ফখরুলের বাদ পড়া এবং সালাহউদ্দিনের উপর জোর দেয়া বিএনপি’র কৌশলগত সিদ্ধান্তের অংশ হতে পারে।বৈঠকে সুষ্ঠু নির্বাচনের পাশাপাশি রাজনৈতিক সংস্কার, নির্বাচন কমিশনের পুনর্গঠন এবং নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিত করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে, এই বৈঠকের ফলাফল এবং বিএনপি’র পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে সবার দৃষ্টি এখন স্টেট গেস্ট হাউস জমুনার দিকে।