
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের (Minorities in Bangladesh) উপর নিপীড়ন, নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে মহম্মদ ইউনুস সরকাররের (Md Yunus government) উপর চাপ বাড়াল ডোনাল্ড প্রশাসন (Donald Trump administration)। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক (US International Religious Freedom Commission) কমিশন বলেছে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুর জীবন বিপন্ন। তারা স্বাধীনভাবে ধর্মাচরণ করতে পারছেন না। তাদের জীবন ধারণের নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।
মার্কিন সংস্থাটির প্রতিনিধিরা মে মাসে বাংলাদেশ সফর করেছেন। তখন প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের সঙ্গে তাদের কথা হয়। প্রধান উপদেষ্টা তাদের আশ্বাস দেন, সংখ্যালঘুদের জানমালের সুরক্ষা দিতে সরকার বদ্ধপরিকর। কিন্তু বাস্তব পরিস্থিতি ভিন্ন বলে রিপোর্টে জানিয়েছে মার্কিন সংস্থাটি।
বাংলাদেশে পালাবদলের পর সংখ্যালঘুদের উপর হামলার ঘটনাগুলি নিয়ে সে দেশের সংখ্যালঘুদের প্রতিষ্ঠানগুলি প্রথম থেকেই সরব। ভারত সরকারও একাধিকবার বাংলাদেশ সরকারের কাছে এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দু’বার মহম্মদ ইউনুসের কাছে এই ব্যাপারে ভারতের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। প্রথমবার টেলিফোনে, দ্বিতীয়বার ব্যাঙ্ককে মুখোমুখি বৈঠকে মহম্মদ ইউনুসকে তাঁর দেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
ট্রাম্প প্রশাসন চালিত ওই প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, সংখ্যালঘুদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলে তারা উদ্বেগজনক তথ্য পেয়েছেন।প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের বৃহত্তম প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ চলতি মাসের গোড়ায় এক রিপোর্ট পেশ করে জানিয়েছে, মহম্মদ ইউনুসের জমানায় প্রথম ৩৩০ দিনের প্রতিদিন সংখ্যালঘুদের উপর হামলার ঘটনা গড়ে সাতটির বেশি হয়েছে। হামলায় মারা গিয়েছেন ৫০ জনের বেশি। দোকান-ব্যবসা দখল, বাড়িঘরের উপর হামলা, নারীদের উপর যৌন লাঞ্ছনার একাধিক ঘটনা ঘটেছে।
বাংলাদেশে সংবিধান, প্রশাসন, বিচার ব্যবস্থার সংস্কারের প্রক্রিয়া শুরু করেছে ইউনুস সরকার। মার্কিন সংস্থাটি প্রশ্ন তুলে বলেছে, সংস্কার।কমিশনগুলিতে কোনও সংখ্যালঘু প্রতিনিধি রাখা হয়নি।দেশের নারীদের কল্যাণে গঠন করা হয়েছে একটি কমিশন। সেই কমিশনের সুপারিশের বিরুদ্ধে মৌলবাদী সংগঠনের আপত্তি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মার্কিন সংস্থাটি।