Home / অন্যান্য / জাতীয় / নারীকে যৌন হয়রানি বৈধ নাকি অবৈধ,তা নিয়ে অন্তর্কোন্দলে জড়িয়েছে এনসিপি

নারীকে যৌন হয়রানি বৈধ নাকি অবৈধ,তা নিয়ে অন্তর্কোন্দলে জড়িয়েছে এনসিপি

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষারের বিরুদ্ধে দলের এক নেত্রীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই নেত্রীর সঙ্গে তুষারের কথোপকথনের একটি অডিও ফাঁস করে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ তোলেন সাংবাদিক জাওয়াদ নির্ঝর।জাওয়াদ নির্ঝর দাবি করেন অডিওটি ৪৭ মিনিটের। তবে তিনি ৩ মিনিট ৫০ সেকেন্ডের একটি অডিও নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে প্রকাশ করেছেন।যা ওই কথোপকথনের চুম্বক অংশ।

সোমবার (১৬ জুন) সকালে সাংবাদিক জাওয়াদ নির্ঝর তার ফেসবুকে অডিও ফাঁস করে লিখেছেন, ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার তার দলের নারী কর্মীকে **(কুপ্রস্তাব) দিচ্ছে! গভীর রাতে মেয়েদের ছবি চায়! ওই নারীর সঙ্গে তার ৪৭ মিনিটের কথোপকথনের চুম্বক অংশ দেওয়া হলো। গোটা অডিও নিচের লিংকে আছে’

আরেক পোস্টে তুষারকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান নির্ঝর সারোয়ার। তিনি বলেন, ‘জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষারকে দল থেকে বহিষ্কার করা হোক।জাতীয় নাগরিক পার্টির নারীর আদৌ নিরাপদ কি না, সে বিষয়েও ব্যাখ্যা দেওয়া হোক। আগে থেকে পরিচিত যৌন নিপীড়ক সারোয়ার তুষারকে কেনো ছাত্রদের দলের বড় নেতা বানানো হয়েছে?

জাওয়াদ নির্ঝরের পোস্ট করা ওই অডিওতে শোনা যায়, সারোয়ার তুষারের কণ্ঠসদৃশ একজন এক নারীর সঙ্গে কথা বলছেন। এতে ওই নারীকে অভিযোগ করতে শোনা যায়, তাকে কুপ্রস্তাব দেওয়া হয়। একই সঙ্গে তার ছবিও চাওয়া হয়।তাতে ওই নারী অবাক হন। তবে ছবি চাওয়ার পেছনে অন্য কোনো ইনটেনশন নেই বলে দাবি করেন তুষার কণ্ঠসদৃশ ব্যক্তির। একপর্যায়ে এমন প্রস্তাবের জন্য ওই নারীর কাছে দুঃখপ্রকাশ করেন ওই ব্যক্তি।তাদের কথোপকথন থেকে বোঝা যায়, এটি গত রমজানের কোনো একসময়ের অডিও। যেখানে ইফতারের পর ওই নারীকে দেখা করার অনুরোধ জানানো হয়। তবে কল রেকর্ডের ওই দুই জনের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।

এনসিপি নেতার তার দলেএ নেত্রীর বিরুদ্ধে যৌনহয়রানিমূলক আচরণের পক্ষে বিপক্ষে নানা ধরনের মন্তব্য করছেন এনসিপির অন্য নেতাকর্মীরা। অনেকেই তার এই ধরণের কর্মকান্ডের বিরোধীতা করলেই অনেকে আবার তার এই কাজের পক্ষও নিচ্ছেন।

এনসিপির শীর্ষ পর্যায়ের এই নেতার সঙ্গে নারীর আ প ত্তিকর কথোপকথনের অডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর দলটির এক নেত্রী ডা. মাহমুদা মিতু ফেসবুক পোস্টে কিছু কিছু নারীদের একহাত নিলেন। ফেসবুক পোস্টে ডা. মাহমুদা মিতু লিখেছেন, “কিছু মেয়েরাই ভাবসাব দেখিয়ে সুযোগ দিয়ে ইনিয়েবিনিয়ে গায়ে পরে প্রেমের প্রস্তাব নেয়। তারপর বলে, তোমাকে আমি বন্ধু মনে করতাম! উল্টো রাগ রাগ ভাবও দেখায়।” তিনি আরও লেখেন, “আবার বহু নারীরা গায়ে পড়ে সে ক্সু য়া লি ইউজড হওয়ার প্রস্তাব নেয়। তারপর বলে, আল্লাহ তুমি আমাকে এভাবে বলবে ভাবতেও পারিনি।”পোস্টের শেষ অংশে তিনি মন্তব্য করেন, “হয়তো প্রকাশ করবে না, কিন্তু বহু ছেলেদেরই এই অভিজ্ঞতা রয়েছে। দিন শেষে সব দোষ ছেলেটার!!! হাহা, এটাই বাস্তব।” এই পোস্টটি এমন সময় দেওয়া হয়েছে, যখন এনসিপির এক শীর্ষ নেতার সঙ্গে এক নারীর আ প ত্তি কর কথোপকথনের অডিও ফাঁস হয়ে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

এভাবেই এনসিপির দলের মধ্যে নারীকে যৌন হয়রানি বৈধ নাকি অবৈধ তা নিয়ে শুরু হয়েছে অন্তর্কোন্দল।

Tagged:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *