
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। আজ বৃহস্পতিবার (২২ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয় বলে একটি সূত্রে জানা গেছে।
সূত্রটি জানায়, প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ নিয়ে আজ বিকেল থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েেছে, যা নিয়ে অনেকই অনেক কথা লিখছেন। বিষয়টি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলতে আজ সন্ধ্যায় যমুনায় আসেন নাহিদ ইসলাম।সূত্রটি বলছে, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলেন নাহিদ ইসলাম। এ সময় তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া একটি গুজব জনমনে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
দাবি করা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করেছেন। এই দাবি ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভুয়া চিঠি ও ২০১১ সালের একটি পুরনো সংবাদ পুনরায় শেয়ার করা হয়েছে। তবে অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, এই দুটি উপাদানই বাস্তবতার সঙ্গে মেলে না এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াতে ব্যবহৃত হয়েছে।২০১১ সালের ১৩ মে দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়, যার শিরোনাম ছিল “Prof Yunus resigns”। এতে বলা হয়েছিল, ড. ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। এটি ছিল সেই সময়ের বাস্তবতা। কিন্তু সেই পুরনো প্রতিবেদনটি ২০২৫ সালের বর্তমান প্রেক্ষাপটে আবার শেয়ার করা হচ্ছে এ ধরনের ইঙ্গিত দিয়ে যে, তিনি নাকি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব থেকেও পদত্যাগ করেছেন।
দ্য ডেইলি স্টার স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, এটি একটি বিভ্রান্তিকর প্রচার—একটি পুরনো রিপোর্টকে পুনরায় পোস্ট করে তা মিথ্যা প্রেক্ষাপটে উপস্থাপন করা হয়েছে। এমনতর ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেই মনে করছে অনেকে।