
৫ই আগষ্টের পর থেকে আওয়ামীলীগের অনেক নেতাকর্মী ভারতে আশ্রয় নেয়। সম্প্রতি শেখ হাসিনা এক ভার্চুয়াল মিটিং এ ভারতে আশ্রয় নেওয়া সবাইকে দেশে ফিরে আসতে বলেন এবং রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দেন।
তবে এই ঘটনাকে অন্তর্বর্তী সরকার এবং বাংলাদেশে বর্তমানে ক্ষনতাশীল রাজনৈতিক দলগুলো ভিন্নভাবে উত্থাপন করছে।
তাদের দাবি, “ভারতে থাকা এসব নেতাদের মধ্যে শুরু হয়েছে দেশটি ছাড়ার হিড়িক। পুশব্যাক ও গ্রেফতারের আশঙ্কায় ভারতের অভ্যন্তরে থাকা অবৈধ বিদেশিদের দ্রুত দেশত্যাগের নির্দেশনা জারি করা হয়েছে, যা আগস্ট মাস থেকে আরও জোরালোভাবে বাস্তবায়ন করা হবে।এই নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে অনেক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারের আশঙ্কা প্রকট হয়ে উঠেছে।”
তবে খোজ নিয়ে জানা যায় ভারত থেকে বাংলাদেশে যাদেরকে পুশ ইন করা হচ্ছে তারা ভারতের বাংলাদেশ থেকে অদূরবর্তী অঞ্চলের বাংলাভাষী বাসিন্দা। যারা অনেক বছর ধরে ভারতে অবস্থান করছে।ভারত সরকার এদেরকে অবৈধ বাংলাদেশী বলে গ্রেফতার ও পুশ ইন করছে। এই গ্রেফতার অভিযান এবং পুশ ইন এর সাথে আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক আশ্রয়গ্রহীতাদের কোনো সম্পর্ক নেই।
আওয়ামীলীগের একজন নেতা ট্রাইবুনাল বিডি নিউজ কে জানান,’নেত্রী আমাদেরকে বাংলাদেশে ফেরত যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন, রাজনৈতিক কার্যক্রমে সক্রিয় হওয়ার জন্যই তিনি এই নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া ভারতে থাকতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। তবে শীঘ্রই আমরা দেশে ফিরে যাবো এবং রাজনীতিতে সক্রিয় হবো,এই সরকার দেশকে বিদেশীদের হাতে তুলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে। বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ থাকতে তা কখনই আমরা হতে দিবো না।”