
কুষ্টিয়ার কুমারখালীর চৌরঙ্গী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীর দাবি, গত সোমবার স্কুলের লাইব্রেরিতে ডেকে নিয়ে ওই শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানি করেন প্রধান শিক্ষক। তবে অভিযোগ অস্বীকার করছেন অভিযুক্ত।এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগীর মা প্রধান শিক্ষকের বিচার দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম মিলন (৫০) উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের পূর্বপাড়া ভালুকা গ্রামের মৃত শেখ সদর উদ্দিনের ছেলে। তিনি চৌরঙ্গী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন।ভুক্তভোগীর মা জানান, সোমবার তার মেয়ে বিদ্যালয় থেকে বাসায় ফিরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। জিজ্ঞেস করলে প্রধান শিক্ষক রেজাউল তাকে লাইব্রেরিতে ডেকে নিয়ে উপবৃত্তি ও মোবাইল ফোনের লোভ দেখিয়ে যৌন নিপীড়ন করেছে বলে জানায়। এ বিষয়ে তারা প্রধান শিক্ষকে জিজ্ঞাসা করলে বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য অনুরোধ করেন।পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষক মোবাইল ফোনে তাদের হুমকি দিতে থাকেন এবং লোকজন পাঠিয়ে মীমাংসার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন।
এ ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে ভুক্তভোগী বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দেয়।ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, ‘উপবৃত্তির কথা বলে উম্মত স্যার লাইব্রেরিতে ডেকে নিয়ে যান। পরবর্তীতে মিলন স্যার আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। ভয় পেয়ে আমি কয়েকদিন ধরে স্কুলে যাচ্ছি না। আমি বিচার চাই। ওনার বিরুদ্ধে অন্য মেয়েদের সঙ্গেও এমন আচরণের অভিযোগ আছে।’ভুক্তভোগীর চাচা বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক বারবার ফোন করে হুমকি দিচ্ছেন এবং মাফ চাচ্ছেন। এসব কথাবার্তার রেকর্ড রয়েছে আমাদের কাছে রয়েছে।’
অভিযোগের বিষয়ে রেজাউল বলেন, ‘অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ছাত্রীকে শাসনের জন্য ডাকা হয়েছিল। খারাপ কোনো কিছু করা হয়নি। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।’এ বিষয়ে ইউএনও এস এম মিকাইল ইসলাম বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা