Home / অন্যান্য / জাতীয় / কুষ্টিয়া / পরকীয়ার কারণে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যার চেষ্টা

পরকীয়ার কারণে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যার চেষ্টা

কুষ্টিয়া শহরে এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ওই গৃহবধূ পরকীয়ায় লিপ্ত ছিলেন। এর জেরে স্বামী তাকে কুপিয়ে হত্যা করে নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এমনকি দুই কন্যা সন্তানকে হত্যার চেষ্টা করেন স্বামী। মঙ্গলবার রাতে শহরের হরিশংকরপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে অভিযুক্ত স্বামী ও তার দুই সন্তান কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীনরা হলেন- অভিযুক্ত স্বামী মামুন আলী, তার চার বছর বয়সি মেয়ে কুলসুম ও দেড় বছর বয়সি মেয়ে জান্নাত।মামুনের পরিবার ও প্রতিবেশীরা জানান, পারিবারিকভাবে মামুনের সঙ্গে মেঘলার বিয়ে হয়। তাদের ঘরে দুই সন্তানেরও জন্ম হয়। তবে মেঘলা পরকীয়ায় লিপ্ত ছিলেন। এ নিয়ে মাঝে মধ্যেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এর জেরে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করে মামুন। একপর্যায়ে মেঘলাকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন।পরে দুই মেয়েকে আছাড় মারেন। এতে তারা তিনজনই গুরুতর আহত হন। এরপর মামুন ধারালো অস্ত্র দিয়ে নিজের গলা কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। প্রতিবেশীরা তাদের গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেঘলা মারা যান।

প্রতিবেশী স্বপ্না খাতুন বলেন, ‘মামুনের স্ত্রী পরকীয়া করতেন। পর পুরুষের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলতেন। কয়েকদিন আগে পালিয়ে গিয়েছিলেন। তারপর আবারও ফিরে আসেন। এরপর স্বামীর সঙ্গে সংসার করছিলেন। হঠাৎ মামুন তার স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। একইসঙ্গে দুই মেয়েকেও আছাড় মারেন ও মারধর করেন। পরে নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তাদেরকে আমরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। এখানে আনার পর মেঘলা মারা যান। অপর তিনজনের অবস্থাও গুরুতর।’

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসকরা বলেন, মারধর ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মেঘলা মারা গেছেন। মামুনসহ দুই শিশু মেয়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক।কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের ওসি মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

Tagged:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *