
চরম অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে শেষ হলো চবির ৫ম সমাবর্তন। যাতায়ত,বন্টন ব্যবস্থাপনা,সাউন্ড সিস্টেম,খাবার,খাবার পানি,ফ্যান প্রতিটি ক্ষেত্রে অভিযোগ জানিয়েছে সমাবর্তনে অংশ নেওয়া গ্র্যাজুয়েটরা।
এছাড়া সমাবর্তন বক্তা প্রধান উপেদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূসের বক্তৃতার সময় এসব অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদ জানিয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠান থেকে বের হয়ে যান প্রায় সকল গ্র্যাজুয়েট।
শুরু থেকেই সমাবর্তন নিয়ে ছিলো নানা ধরণের অভিযোগ। গরমের দিনে সমাবর্তন আয়োজন নিয়ে অনেকেই অভিযোগ জানিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছে গরমই। সমাবর্তন অনুষ্ঠানস্থলে শুধুমাত্র ভি আই পি দের জন্য এয়ারকুলারের ব্যবস্থা করা হয়,গ্র্যাজুয়েটদের জন্য দেওয়া হয় ফ্যান। কিন্তু তা পর্যাপ্ত ছিলো না। গরমে অনেকে হিটস্ট্রোক করেন,মাথা ঘুরিয়ে পড়ে যান। অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার আগেই অনেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য হন।
এছাড়া অনুষ্ঠানস্থলে পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা ছিলো না,পানির ফিল্টার দিলেও কোনো গ্লাস রাখা হয়নি,পানির অভাবে অনেকে ডিহাইড্রেট হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। দুপুরের খাবারের মান নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। খাবারের জন্য ৮০০টাকা বরাদ্দ রাখলেও তা কোনভাবেই ৮০০টাকা মানের খাবার নয় বলে অভিযোগ করেন সমাবর্তীরা।
এছাড়া গাউন সহ সমাবর্তনের যাবতীয় গিফট প্রদান,সার্টিফিকেট প্রদান,আইডি কার্ড প্রদানের ব্যবস্থাপনায় চরম অব্যবস্থাপনার স্বীকার হন সমাবর্তীরা। সমাবর্তনে যাওয়ার সময় এবং ফিরার পথে যাতায়ত নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েন অনেকেই। এসব নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আয়োজকদের নিয়ে নানা সমালোচনা করছেন তারা।