
সম্প্রতি জাতীয় উপদেষ্টা পরিষদ (NCP) এর দাবির প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই ঘটনার পর দেশজুড়ে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।সবচেয়ে আলোচিত প্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার একটি ঘটনার। সেখানে আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা মাহফুজ আলমের নামে একটি গরু জবাই করে উল্লাস প্রকাশ করা হয়। জানা গেছে, মাহফুজ আলম এক সময় তামিরুল মিল্লাত মাদ্রাসার ছাত্র ছিলেন এবং পরবর্তীতে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন.!বর্তমানে তিনি অন্তবর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা “
তা’মীরুল মিল্লাত টঙ্গী-প্রতিষ্ঠানটির শিবিরের নেতাকর্মীরা আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধের খুশিতে নৈশভোজ অনুষ্ঠান আয়োজন করে। সেই অনুষ্ঠানে তারা একটি গরু জ-বাই করে রান্না করে। গরুটি জ-বাই করার আগে এটির গায়ে ‘মাহফুজ আলম’ লিখে পুরো এলাকায় ঘুরানো হয়।
এই ঘটনা সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। অনেকেই বিষয়টিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও বিদ্বেষমূলক কর্মকাণ্ড হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ কেউ একে রাজনৈতিক বার্তা হিসেবে উল্লেখ করছেন।তবে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য দেয়নি।এ বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকেও এখন পর্যন্ত কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এই স্ট্যাটাসটি দেওয়ার পরপরই জামাত-শিবিরের কর্মীরা তাকে উদ্দেশ্য করে নেতিবাচক সমালোচনা ও হুমকি প্রদান করতে থাকে। কিছুক্ষণ পরেই মাহফুজ আলম তার স্ট্যাটাসটি ফেসবুক থেকে সরিয়ে নেন।এই ঘটনার প্রেক্ষিতে নেটিজেনরা নানাভাবে সমালোচনা করছেন। জুলাই আন্দোলনকারীরা নিজেরা যে নতুন স্বাধীন বাংলাদেশের কথা বলেন,সেখানে একজন উপদেষ্টারই ক্ষোভের মুখে তার মতামত মুছে ফেলতে হচ্ছে তাই দেশের মানুষের বাকস্বাধীনতা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়।৫ই আগষ্ট পরবর্তী সময়ে সর্বক্ষেত্রেই এমনটা দেখা যাচ্ছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কেউ কোথাও কিছু বললেই তাদের বিরুদ্ধে আক্রমনাত্মক ক্ষোভের প্রকাশ করে জামাত-শিবিরের কর্মীরা। যারই বহিঃপ্রকাশ হিসেবে মাহফুজ আলম লিখা গরু এলাকায় প্রদর্শন করে ঘুরিয়ে জবাই করা হয়।