
২০২৪-২৫ অর্থবছরের শুরুতে যখন অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয় তখন দেশের অর্থনীতি ছিল চরম সংকটে—ডলারের ঘাটতি, ব্যাংক লুট, অর্থ পাচার ও মূল্যস্ফীতিতে জনগণ বিপর্যস্ত।
এই পরিস্থিতিতে সরকার উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ৫০০ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তা চায়।অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিজে জাতির উদ্দেশে ভাষণে বিষয়টি জানান এবং বিদেশ সফরে গিয়েও এই অনুরোধ করেন।
তবে আট মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো কেউ সাড়া দেয়নি। বর্তমানে বৈদেশিক ঋণের প্রতিশ্রুতি আগের তুলনায় প্রায় ৫৮ শতাংশ কমেছে।মূলত নতুন প্রকল্প না থাকায় এবং রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক অস্থিরতায় দাতারা পিছিয়ে আছে।গত বছরের তুলনায় অর্থ ছাড়ও কমেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্থিতিশীলতা না এলে দাতারা সহায়তা বাড়ায় না। প্রকল্প বাস্তবায়নের হারও দশ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।এ অবস্থায় আগামী বাজেটে বড় আকারের বৈদেশিক ঋণ নির্ভরতা থাকবে। তবে দরকার রাজনৈতিক স্থিতি, দক্ষ আলোচনা এবং সঠিক প্রকল্প পরিকল্পনা।এখন পর্যন্ত সরকারের নানা চেষ্টার পরও কাঙ্ক্ষিত অর্থ আসেনি। এ থেকে উত্তরণে বাস্তবায়ন ও নীতিগত অগ্রগতি জরুরি।