
আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধের জন্য সারাদেশে চলছে জুলাই আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভ। গত ০৮ই মে রাত থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নেয় এনসিপির নেতাকর্মীরা। পরবর্তীতে জুলাই আন্দোলনে অংশ নেওয়া আরও বেশ কয়েকটি দল তাদের সমর্থনে জড়ো হয় যমুনার সামনে।এরপর সেখান থেকে আন্দোলন সরিয়ে নেওয়া হয় শাহবাগে। দুইদিন যাবৎ শাহবাগ ব্লকেড করে অবস্থান করে যাচ্ছে আন্দোলনকারীরা।
তবে এই আন্দোলন নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। আন্দোলন মূলত শুরু হয় সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ দেশত্যাগ করার পর থেকেই। জুলাই আন্দোলনের হত্যা মামলা থাকার পরেও তিনি কিভাবে দেশ ত্যাগ করেন সেই প্রশ্ন তুলে আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধের দাবি জোড়ালো করে আন্দোলনকারীরা। কিন্তু বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের দেশ ত্যাগের ব্যাপারে আগে থেকেই অবগত ছিলো সরকারের উচ্চ পর্যায়ের দায়িত্বরতরা। বর্তমান সরকারকে অনেকেই ছাত্র তথা জুলাই আন্দোলনকারীদের সরকার হিসেবে আখ্যায়িত করেন। এমন অবস্থায় তাদের নিয়ন্ত্রিত সরকারের দায়িত্বরতদের অবগত করে দেশ ছাড়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামিলীগ নিষিদ্ধের দাবি জোড়ালো করাকে অনেকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে দেখছেন।
এই ঘটনার পিছনে মিয়ানমার করিডর ইস্যু ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
গতকাল ঢাকার রাস্তায় জাতিসংঘের বিশাল কনভয় কন্টেইনার ট্রাক দেখা গেছে। যা দিয়ে মানবিক করিডর দিয়ে বিভিন্ন দেশে সহায়তা পাঠায় জাতিসংঘ। তার আগে ঢাকায় দুটি আমেরিকার বিমান বাহিনীর সামরিক কার্গো বিমান অবতরণ করে। একই সময় আমারিকান আর্মির উচ্চপদস্থ অফিসাররা ঢাকায় আসেন। আরও কয়েকটি সামরিক কার্গো বিমান ঢাকায় অবতরণ করার কথাও শোনা যাচ্ছে। এসব ঘটনায় জনমণে প্রশ্ন উঠেছে, মিয়ানমারে করিডর দেওয়ার চুক্তি কি ইতোমধ্যে হয়েই গেছে, এই চুক্তির আওতায় কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে বলে আশঙ্কা করছে সবাই। এই তথ্য আড়াল করার জন্যই সারাদেশে আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধের দাবি তোলা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ নেতা ট্রাইব্যুনাল বিডি নিউজকে বলেন, ‘অবৈধ সরকার ইতোমধ্যে মিয়ানমার করিডর চুক্তি সেড়ে ফেলেছে, আমেরিকার লোকজন সামরিক বিমান নিয়ে ঢাকায় এসেছে, জাতিসংঘের মালবাহী কন্টেইনার করিডর দিয়ে রাখাইন যাওয়ার পথে রয়েছে। এসব তথ্য ঢাকার জন্য এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে ব্যস্ত রাখার জন্যই এই সরকার আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধের নাটক মঞ্চস্থ করেছে।’