Home / রাজনীতি / চট্টগ্রাম / চট্টগ্রমের হাটহাজারীতে আওয়ামী লীগকেই নিষিদ্ধের দাবি তুললেন এক সময়ের আওয়ামীপন্থী নেতা ওজায়ের আহমেদ হামিদি

চট্টগ্রমের হাটহাজারীতে আওয়ামী লীগকেই নিষিদ্ধের দাবি তুললেন এক সময়ের আওয়ামীপন্থী নেতা ওজায়ের আহমেদ হামিদি

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে আওয়ামী লীগকেই নিষিদ্ধের দাবি তুললেন এক সময়ের আওয়ামীপন্থী ওজায়ের আহমেদ হামিদি!হাটহাজারী প্রতিনিধি:চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে তীব্র আলোচনার জন্ম দিয়েছেন ওজায়ের আহমেদ হামিদি, যিনি বর্তমানে হাটহাজারী উপজেলা খেলাফত মজলিসের সাধারণ সম্পাদক। সম্প্রতি তিনি প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি তুলে এলাকায় রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি করেছেন।

তবে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে তার অতীত রাজনৈতিক পরিচয় ঘিরে। এক সময় নিজেকে আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ এবং সক্রিয় কর্মী হিসেবে পরিচয় দিতেন ওজায়ের।

২০২১ সালের ১২ এপ্রিল হাটহাজারী থানার তৎকালীন ওসি রফিকুল ইসলাম তাকে গ্রেফতার করেন। তবে তার গ্রেফতারের এক সপ্তাহ আগেই, ১ এপ্রিল, হাটহাজারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন চৌধুরীর স্বাক্ষরিত একটি প্রত্যয়নপত্রে তাকে “দলীয় সক্রিয় কর্মী” হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়।

প্রত্যয়নপত্রে লেখা ছিল:“উজায়ের আহমেদ হামিদী ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে সবসময় দলীয় কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেন। বর্তমানে হাটহাজারী পৌরসভা আওয়ামী লীগের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের একজন সক্রিয় কর্মী ও নেতা। আমরা তার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি।”এই প্রত্যয়নপত্রটি পরবর্তীতে পাঁচটি মামলায় জামিন আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষের জোরালো বিরোধিতা না থাকায় আদালত সহজেই জামিন মঞ্জুর করেন।

জানা গেছে, পুরো জামিন প্রক্রিয়ার তদারকি করেন তৎকালীন গড়দুয়ারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সরওয়ার মোর্শেদ তালুকদার, যিনি ওজায়েরের আত্মীয়। ওজায়ের নিজেও নিজেকে সরওয়ার চেয়ারম্যানের ভাগিনা এবং সাবেক ছাত্রলীগ নেতা দাবি করতেন।এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, “২০২১ সালে গ্রেফতারের সময় তাকে আওয়ামী লীগের সক্রিয় সদস্য হিসেবেই ডিও লেটার দেওয়া হয়েছিল। সেই প্রেক্ষিতেই জামিন মেলে। এরই ফলস্বরূপ ৫ আগষ্টের পর যেসব হত্যা মামলা হয়েছে, সেগুলোর কোনোটিতেই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী ও সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন চৌধুরী নোমান আসামি হননি।”

স্থানীয়দের অভিযোগ, ওজায়ের হামিদি সবসময় সুবিধাবাদী রাজনীতির আশ্রয় নেন। কখনো আওয়ামী লীগ, কখনো হেফাজতে ইসলাম, আবার কখনো খেলাফত মজলিসের ব্যানারে নিজের অবস্থান ও সুবিধা নিশ্চিত করেন।এমন প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে—যিনি এক সময় আওয়ামী লীগের ছায়ায় থেকে রাজনৈতিক আশ্রয় ও জামিন পেয়েছিলেন, সেই ব্যক্তি আজ কীভাবে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে সরব হন?

Tagged:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *