Home / আন্তর্জাতিক / ভারতের যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার পাকিস্তানি দাবি মিথ্যাচার: চীনের ভারতীয় দূতাবাস

ভারতের যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার পাকিস্তানি দাবি মিথ্যাচার: চীনের ভারতীয় দূতাবাস

চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ‘গ্লোবাল টাইমস’-এ প্রকাশিত পাকিস্তানের হাতে ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হওয়ার দাবি সোজাসুজি ‘ভিত্তিহীন ও মিথ্যাচার’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে চীনে নিযুক্ত ভারতীয় দূতাবাস।

বুধবার এক্স (সাবেক টুইটার)-এ দেওয়া এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে ভারতীয় দূতাবাস বলেছে, “প্রিয় গ্লোবাল টাইমস, বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারের আগে দয়া করে তথ্য যাচাই করুন এবং উৎস পুনরায় পরখ করুন।”গ্লোবাল টাইমস তাদের প্রতিবেদনে দাবি করেছিল, পাকিস্তান বিমানবাহিনী ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর জবাবে ভারতীয় একটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। অথচ তারা যে চিত্রপ্রমাণ ব্যবহার করেছে, তা ২০২১ সালে রাজস্থানে এবং ২০২৪ সালে পাঞ্জাবে ঘটে যাওয়া দুটি পুরনো দুর্ঘটনার ছবি—যার কোনোটি ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়।

ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অধীনে পিআইবি ফ্যাক্ট চেক সেসব ভুয়া ছবি ও দাবিকে চিহ্নিত করে স্পষ্ট করেছে, গ্লোবাল টাইমসের প্রতিবেদন তথ্যগতভাবে ভুল এবং উদ্দেশ্যমূলক।ভারতীয় দূতাবাস আরও বলেছে, “কয়েকটি পাকিস্তানপন্থী এক্স অ্যাকাউন্ট ‘অপারেশন সিঁদুর’ ঘিরে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত গুজব ছড়াচ্ছে। এসব যাচাই না করে সংবাদমাধ্যমে প্রচার করা সাংবাদিকতার ন্যূনতম নৈতিকতা ও দায়িত্ববোধের পরিপন্থী।”

এদিকে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সফলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানায় সশস্ত্র বাহিনীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরের পাহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিরপরাধ মানুষ নিহত হওয়ার পর ভারত নিজের আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করেছে। নিহতদের মধ্যে একজন নেপালি পর্যটকও ছিলেন।ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলার পর ভারতের ভূখণ্ডে এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা, যা লস্কর-ই-তৈয়বা ও পাকিস্তানের মদদপুষ্ট জঙ্গিদের দ্বারা পরিচালিত। হামলায় পরিবারগুলোর সামনেই নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করা হয় নিরপরাধ মানুষদের।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, হামলার দুই সপ্তাহ পার হলেও পাকিস্তান জবাবদিহিতা এড়িয়ে যাচ্ছে এবং বরাবরের মতো দোষ অস্বীকার করে যাচ্ছিল। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত এই ধরনের সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় না দিয়ে জবাবদিহি নিশ্চিত করা।সূত্র: রয়টার্স, এনডিটিভি

Tagged:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *