
আগামী ২০ জুলাই ২০২৫, রবিবার,- গোপালগঞ্জ গণহত্যার প্রতিবাদ, ক্যাঙারু কোর্টে প্রহসনমূলক কার্যক্রম বাতিল এবং খুনী-দখলদার-ফ্যাসিস্ট সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা ‘সর্বাত্মক হরতাল’-এর ডাক দিয়েছে। হরতালের ডাক দিয়ে এক যৌথ প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে সংগঠনগুলো।
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ডাকে ‘সর্বাত্মক হরতাল’-এর সমর্থনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিবৃতি———
আগামী ২০ জুলাই ২০২৫, রবিবার, গোপালগঞ্জ গণহত্যার প্রতিবাদ, ক্যাঙারু কোর্টে প্রহসনমূলক কার্যক্রম বাতিল এবং খুনী-দখলদার-ফ্যাসিস্ট সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা ‘সর্বাত্মক হরতাল’-এর আহ্বান করেছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনে করে এ সকল সংগঠন যেসব দাবিতে হরতাল ডেকেছে তার সবগুলো ন্যায্য ও যৌক্তিক। এই হরতাল সফল ও সার্থক করার জন্য আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পূর্ণ সমর্থন জ্ঞাপন করছি।খুনি-জঙ্গি-সন্ত্রাসী-অবৈধ-ফ্যাসিস্ট ইউনূস ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নারকীয় ধ্বংসলীলা ও হত্যাযজ্ঞ ঘটিয়ে সংবিধান লঙ্ঘন করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছে। এই দখলদার গোষ্ঠী তাদের অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে নজিরবিহীনভাবে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস পরিচালনার পাশাপাশি মবসন্ত্রাস চালিয়ে সারা দেশে ভয়ের রাজত্ব কায়েম করেছে, মানুষের বিবেক ও শুভবোধকে দমিয়ে রাখছে।
জঙ্গি গোষ্ঠীর প্রতিভূ এই ইউনূস গংদের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের নিকৃষ্ট উদাহরণ হলো গোপালগঞ্জের গণহত্যা। শুধু তা-ই নয়, এর পর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশি করে নির্বিচারে গণগ্রেফতার করছে। সমগ্র গোপালগঞ্জ জেলাকে পুরুষ শূন্য করে ফেলেছে। পুরুষ কাউকে না পেলে পরিবারের নারী ও কিশোর সদস্যদেরও রেহাই দিচ্ছে না।শিশু-আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা কেউই এই নিদারুণ অত্যাচারের বাইরে নয়। যাকে ধরতে পারছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তার উপর নির্মম নির্যাতন চালাচ্ছে।
দেশধ্বংসকারী অবৈধ দখলদার খুনি-ফ্যাসিস্ট ইউনূস গংদের উৎখাত করার লক্ষে উল্লিখিত সংগঠনসমূহের আহূত হরতাল কর্মসূচি স্বতঃস্ফূর্তভাবে সফল করতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে সর্বোচ্চ দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে। জনতার অংশগ্রহণের মাধ্যমে হরতাল সফল করার মধ্য দিয়ে দেশের রাজনীতিতে হৃত জনগণতান্ত্রিক ধারা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হব, ইনশাল্লাহ।জয় বাংলাজয় বঙ্গবন্ধুবাংলাদেশ চিরজীবী হোক।