
বাংলাদেশ ও মায়ানমার সীমান্তে ‘মক ড্রিল’ এর ঘোষণা দিতে পারে ভারত। গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যসূত্র অনুযায়ী, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ভারতের সাথে থাকা বাংলাদেশ ও মায়ানমার সীমান্ত অঞ্চলগুলোতে মক ড্রিল এর ঘোষণা দিতে পারে ভারত। যুদ্ধাবস্থায় কিভাবে প্রস্তুতি নিতে হয় এবং নিজেদের নিরাপদ রাখতে হয় সাধারণ জনগণকে এই বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়াকেই মক ড্রিল বলা হয়ে থাকে। তবে কি বাংলাদেশের সাথে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত!
সাধারণত যুদ্ধাবস্থা তৈরি হলে যুদ্ধের পূর্ববর্তী সময়ে সাধারণ জনগণকে সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ দিতে মক ড্রিল করা হয়। সর্বশেষ ভারত পাকিস্তান যুদ্ধাবস্থা তৈরি হলে ভারত তাদের সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোতে এধরণের মক ড্রিলের ঘোষণা দিয়েছিল।
মক ড্রিল করার পরেই পাকিস্তানের সীমান্ত এলাকায় ‘অপারেশন সিন্দুর’ পরিচালনা করা হয়। পরবর্তীতে পাকিস্তানও প্রতিহত ও পালটা হামলা চালালে তা একটি ক্ষণস্থায়ী যুদ্ধে পরিণত হয়।এই ঘটনার এক মাস না পেরোতেই এখন বাংলাদেশ ও মায়ানমার সীমান্তে মক ড্রিল ঘোষণার খবর শুনা যাচ্ছে যা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক বিষয়।
এছাড়া কিছুদিন আগে ভারতের চিকেন নেক অংশে রাশিয়ার এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা সিস্টেম স্থাপন এবং ফ্রান্সের তৈরি ১৮টি রাফায়েল যুদ্ধবিমান মোতায়েন করছে বলে প্রকাশ হয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে। তবে তাদের এ কার্যক্রম নিয়ে বাংলাদেশের সরকার বা প্রতিরক্ষা দপ্তর থেকে কোন ধরনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বেশকিছুদিন ধরে বাংলাদেশের চারিদিকে নানা সীমান্তে ভারত অবৈধভাবে ৭০০ এর অধিক নাগরিককে পুশ ইন করেছে। যা ইচ্ছাকৃত ঝামেলা সৃষ্টির ইঙ্গিত দেয়। এছাড়া গতকাল গভীর রাতে ফেনী সীমান্তের নো-ম্যান্স ল্যান্ডে অবৈধভাবে মাটিকেটে খাল খনন করেছে বিএসএফ। এসবকিছুই বাংলাদেশের সাথে ইচ্ছাকৃত ঝামেলা সৃষ্টি বা যুদ্ধে জোড়ানোকে ইঙ্গিত করছে। যদি গোয়েন্দা সংস্থার মক ড্রিলের তথ্য সত্য হয়ে থাকে তবে ভারতের বাংলাদেশে আক্রমণ করার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।