
চট্টগ্রাম নগরীর বির্জা খাল খননের দায়িত্ব নিয়েছিল জামায়েত ইসলামি। দায়িত্ব নিয়ে তারা বেশ রাখঢাখ করে এই খাল খনন করে। এই খাল খনন নিয়ে জামায়েত ইসলামি এবং ইসলামি ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা ব্যাপক প্রচারণা চালায় অনলাইন এবং অফলাইনে। এমনকি তারা এও দাবি করে যে তাদের এই একটি খাল খননের কারণেই চট্টগ্রামের সকল জলাবদ্ধতা নিরসণ হয়ে গিয়েছে।
তবে গত বেশ কিছুদিন টানা বৃষ্টির ফলে চট্টগ্রামের বিভিন্ন মূল সড়ক এবং অলি গলিতে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। এরই প্রেক্ষিতে আজ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা: শাহাদাৎ হোসেন নগরীর খালগুলো পরিদর্শনে বের হন। এসময় বির্জা খাল পরিদর্শন করতে গিয়ে দেখেন সেখানে আগের মতই ময়লা-আবর্জনায় খালের বেহাল অবস্থা পুনরায় ফিরে এসেছে। এই অবস্থা দেখে তিনি জামায়েতের খাল খননের প্রক্রিয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন এবং পুনরায় এই খাল খননের সিদ্ধান্ত জানান।
চট্টগ্রামে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী পরস্পরকে টেক্কা দিতে খাল খনন নিয়ে একই ধরনের কর্মসূচি করছে। সম্প্রতি নগরীর বির্জা খাল খনন ও পরিষ্কার কার্যক্রম শুরু করে জামায়াত। এ কর্মসূচির আদলে জনগণের নজর কাড়তে দুটি খাল খননের উদ্যোগ নিয়েছে বিএনপি।
মূলত খালগুলোর যেসব পয়েন্টে পানি চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, এক্সক্যাভেটর দিয়ে সেখানে খননের পাশাপাশি ময়লা-আবর্জনা অপসারণ করে পানি চলাচলের উপযোগী করা হচ্ছে।বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপি-জামায়াতের সাম্প্রতিক উদ্যোগ ‘খাল খননের রাজনীতি’ তকমা পেলেও প্রশংসার দাবিদার।
প্রত্যেক ওয়ার্ডে এমন কার্যক্রম হলে জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে চট্টগ্রামবাসী মুক্তি পাবে। যদিও দলীয় নেতাকর্মীর পাশাপাশি নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছ থেকে ‘চাঁদা’ তুলে কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগ উঠেছে।