Home / অন্যান্য / জাতীয় / চট্টগ্রামে শ্মশান-কালীমন্দিরে ভাঙচুর আগুন; জায়গা দখল মূল উদ্দেশ্য: আতংকে হিন্দুরা

চট্টগ্রামে শ্মশান-কালীমন্দিরে ভাঙচুর আগুন; জায়গা দখল মূল উদ্দেশ্য: আতংকে হিন্দুরা

ক্রমশঃ হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য আতংকের জনপদ হয়ে উঠছে।গত ২০২৪ এর ৫ আগষ্টের পটপরিবর্তনের পর থেকেই সারাদেশেই হিন্দুদের ওপর অত্যাচার নির্যাতন, মন্দির ভাংচুর- আগুন লাগানো যেন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে।সেই সাথে খুন, ধর্ষণ, নীপিড়ন, সম্পত্তি- ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখলও চলে আসছে সমানতালে।তবে এসব ঘটনার খুব অল্পই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পায়।

এরই মধ্যে গত ৩১ মে দিবাগত গভীর রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড থানাধীন সলিমপুর এলাকায় একটি শ্মশান কালিমন্দিরে হামলা চালিয়েছে ইসলামী সাম্প্রদায়িক একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী।এসময় সন্ত্রাসীরা শ্মশান কালিবাড়িতে শুধু হামলা চালিয়েই ক্ষ্যান্ত হয়নি। প্রতিমা ভাংচুর করে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে।সেইসাথে লুটপাট ও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে মন্দিরটি।

ঘটনাটি সীতাকুন্ড থানা পুলিশকে জানানো হলেও তারা শুধুমাত্র একটি জিডি ( সাধারন ডায়েরি) করেই দায়িত্ব শেষ করেছে। এমন একটি ধ্বংসাত্বক ও সাম্প্রদায়িক সহিংস ঘটনার জন্য কোন মামলা নেয়নি।স্থানীয় হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা অভিযোগ করেছেন , চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড থানাধীন বায়েজিদ লিংক রোডে ছিন্নমূল সলিমপুর এলাকার ২০ বছর পূর্বে নির্মিত শ্মশান কালীবাড়ি/ কালি মন্দিরে এই ন্যাক্কারজনক হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা।

হামলাকারিদের অনেকের পরিচয় জানলেও ভয়ে কারো নাম- পরিচয় জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তারা।তবে তারা বলছেন, বসবাসকারী সনাতনীদের শ্মশান ও ধর্মীয় মন্দির এবং বৈধভাবে দীর্ঘদিন যাবত শান্তিপূর্ণ, জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন ও অধিকার নিয়ে, বেঁচে থাকার অবলম্বনটুকু, একশ্রেণীর দুষ্কৃতীকারিদের অশুভ পেশিশক্তির কুদৃষ্টির কবলে পড়ে।তারই ফলশ্রুতিতে গভীর রাতের অন্ধকারে অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে, আগুন লাগানোসহ, মূর্তি গুলো টুকরো টুকরো করা হয়েছে।

এই ব্যাপারে সীতাকুণ্ড থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ শুধু একটি জিডি নিয়েছে।থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। হাতেগোনা কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে দায়সারা গোছের সংবাদ পরিবেশন হয়েছে মাত্র।

তবে স্থানীয় হিন্দু অধিবাসীসহ এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, হিন্দুদের জায়গা দখলই মূল উদ্দেশ্য। সেকারণেই এভাবে মন্দিরে হামলা- আগুন লাগানো ও হুমকি দেয়া হয়েছে।কারণ ওই শ্মশান ও কালীমন্দিরকে ঘিরে বেশ বিছু হিন্দু পরিবার বাস করছেন দীর্ঘদিন যাবৎ।তাদের মনোবল ভেঙ্গে দিয়ে বসতভিটা থেকে উৎখাতের এক গভীর ষড়যন্ত্র চলছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় অধিবাসীরা।সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিপদে- আপদে তাদের পাশে থাকা সংবাদকর্মী ও সমাজসেবক সুজিত দাশ বলেছেন, গত রোববার সন্ধ্যায় সরজমিনে গিয়ে বসবাসকারীদের সাথে কথা বলেছি।

Tagged:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *