Home / অর্থনীতি / গ্যাস সংকটে বন্ধ হচ্ছে কারখানা, দুর্ভিক্ষের শঙ্কা ব্যবসায়ীদের

গ্যাস সংকটে বন্ধ হচ্ছে কারখানা, দুর্ভিক্ষের শঙ্কা ব্যবসায়ীদের

শিল্পে গ্যাস সংকট চরমে। বন্ধ হচ্ছে একের পর এক কারখানা। সরকার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছেনা বলে অভিযোগ করেছেন বস্ত্র খাতের ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি, এভাবে চলতে থাকলে ঈদের বেতন-বোনাস পরিশোধ করা কঠিন হবে। কয়েক মাসের মধ্যে বন্ধ হতে পারে অর্ধেক টেক্সটাইল কারখানা। রোববার জ্বালানি সংকট নিয়ে রাজধানীতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলা হয়।

দেশের তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য কাপড় ও সুতার বড় অংশ জোগান দেয় স্থানীয় টেক্সটাইল কারখানাগুলো। বড় বিনিয়োগে গ্যাস নির্ভর এসব শিল্প এখন চরম সংকটে। জ্বালানির অভাবে বন্ধ থাকছে বেশিরভাগ সময়। নষ্ট হচ্ছে যন্ত্রপাতি। টানতে হচ্ছে চড়া সুদের ব্যাংক ঋণ। বিকল্প জ্বালানিতে খরচও বাড়ছে।দাম বাড়ানোর পরও প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী গ্যাস না পেয়ে ক্ষুব্ধ শিল্পমালিকরা। তাদের অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবেই ধ্বংস করা হচ্ছে শিল্পগুলো। সরকারের পরিকল্পনাহীনতার খেসারত দিচ্ছেন তারা।

টেক্সটাইল কারখানাগুলোর মালিকদের সংগঠন বিটিএমএ’র সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল বলেন, ‘আমাদের উপদেষ্টা সাহেবরা মনে হয় উটপাখির মতো হয়ে গেছে। চারদিকে কি হচ্ছে মনে হয় তারা দেখতে পারছেন না। প্রতিনিয়ত আমাদের লে অফ হচ্ছে। কিছুদিন পরে মানুষ রাস্তায় নামবে। আরও ভয়াবহ পরিস্থিতি হবে। দুর্ভিক্ষের মতো অবস্থা হবে যদি আপনি শিল্পকে বাঁচাতে না পারেন।’

ব্যবসায়ীরা বলেন, গ্যাস-বিদ্যুৎ নিয়ে নীতি নির্ধারকরা কেবল আশ্বাস দিয়েই দায় সারছেন। অর্থনীতির নাজুক পরিস্থিতিতে ঈদে ১০ দিনের ছুটি দেওয়ারও সমালোচনা করেন তারা। বিসিআই সভাপতি আনোয়ার উল আলম পারভেজ বলেন, ‘বেতন না দিতে পারলে সরকার থেকে আবার ধমক দেওয়া হচ্ছে যে এতো তারিখের মধ্যে আপনাদের সবাইকে ফ্যাক্টরির বেতনও দিতে হবে। অথচ ওনারা গ্যাসও দেবেন না, ব্যাংকের ইন্টারেস্ট রেটও বাড়াবেন আবার আমাকে গ্যাস বিলও দিতে হবে। গ্যাসের প্রেসার থাকতে ১ দশমিক ৫ বা জিরো, মিটার কিন্তু আমার ঘুরছে।’

ব্যবসায়ীরা বলেন, সিস্টেম লসের নামে ১২ ভাগ গ্যাস চুরি ও অপচয় হচ্ছে। শিল্পের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতে ধাপে ধাপে বাসা বাড়িতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধের দাবি তাদের। স্থানীয় গ্যাস অনুসন্ধানে জোর দেওয়ারও তাগিদ দেন ব্যবসায়ীরা।

Tagged:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *