
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বিরুদ্ধে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে এক দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তাকে বদলি করদ্যে দেওয়ার সুযোগে ২০কোটি টাকা ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। আজ ১৮ই জুন বুধবার একজন বিশিষ্ট সাংবাদিক একটি অডিও রেকর্ড এর মাধ্যমে ফেসবুক পোস্ট দিয়ে এই দূর্নীতির অভিযোগটি করেন। এ সংক্রান্ত একটি ফোনালাপও ফাঁস হয়েছে।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেন: “স্থানীয় সরকার বিভাগের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা আবদুল লতিফ খানের শখ ছিলো গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে বদলি হওয়ার। ফেব্রুয়ারি মাসেই একটা স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী ২০ কোটি টাকা ঘুষের বিনিময়ে, আবদুল লতিফ খানকে অধিক হারে লুটপাট করার আশায়, এই বদলির পেছনে ইনভেস্ট করার সিদ্ধান্ত নেয়। তারা যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা বা পিও, মাহফুজুল আলম ভূঁইয়ার শরণাপন্ন হন। মাহফুজুল আলম প্রথমে পাঁচ কোটি টাকা ঘুষ চাইলেও, পরবর্তীতে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার অধিক চাহিদার কারণে, এই বদলির পেছনে ২০ কোটি টাকা ঘুষ দাবি করেন! অবশেষে ফেব্রুয়ারী মাসের মাঝামাঝি সময়ে আবদুল লতিফ খান তার স্বপ্নের গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে বদলি হন। “
তিনি আরও লিখেন, “কিন্তু বদলির কাজ সম্পন্ন করে দেয়ার পর, এই বদলির পেছনে অর্থ লগ্নি করতে ইচ্ছা পোষণ করা ইনভেস্টরের মা, হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মারা যান। মায়ের মৃত্যুর কারণে ২০ কোটি টাকা ঘুষ প্রদানে তার কিছুটা বিলম্ব হয়। তখন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার লোকজন টাকা না দিলে বদলির আদেশ বাতিলের হুমকি দেয়! এই কথোপকথনটি ঘুষের টাকা লেনদেনের সাথে জড়িত সেই চক্রের মাঝে; ওই সময়ে সংঘটিত একটা কথোপকথনের অংশ বিশেষ। যেহুতু ওই ঘটনার পর ইতিমধ্যেই চার মাস পার হয়ে গিয়েছে; এবং আলোচিত ব্যক্তিটি এখনো ওই পদে বহাল আছে, সুতরাং ধারণা করা যায় ২০ কোটির ঘুষের লেনদেন ইতিমধ্যেই সংঘটিত হয়ে গিয়েছে! এই সরকারের আমলে দুদক বা কেউই এই ব্যাপারে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার পিও অথবা আবদুল লতিফ খানকে জিজ্ঞসাবাদ করবে; তেমনটি আমি আশা করি না। তবে ক্ষমতার পালা বদল ঘটলে আমরা অবশ্যই এই ২০ কোটি টাকার হিসেব আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের থেকে আদায় করে নিবো।”