Home / অন্যান্য / জাতীয় / ইতিহাসের সর্বনিম্ন পর্যায়ে চামড়ার দাম,কোনো টাকা ছাড়াই চামড়া দিতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকে

ইতিহাসের সর্বনিম্ন পর্যায়ে চামড়ার দাম,কোনো টাকা ছাড়াই চামড়া দিতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকে

ঈদুল আজহার পর রাজধানীসহ আশপাশের এলাকা থেকে কোরবানির পশুর চামড়া আসতে শুরু করেছে সাভারের চামড়া শিল্পনগরীতে। তবে সরকার নির্ধারিত মূল্য মানতে নারাজ আড়তদাররা। লোকসানের অজুহাতে চামড়া কিনতে চাইছেন না নির্ধারিত দামে। ফলে চামড়া বিক্রেতা ও ফড়িয়াদের সঙ্গে চলছে টানাপোড়েন ও দরদাম নিয়ে উত্তেজনা।

ঈদ জামাতের পর সারা দেশে হয়েছে লাখ লাখ পশু কোরবানি। এখন চলছে চামড়া সংগ্রহ। ঢাকা শহরের ভেতরের বেশির ভাগ চামড়া আসে সায়েন্স ল্যাব এলাকায়। সকাল ১০টা থেকে তাই এখানে কোরবানির পশুর চামড়া নিয়ে আসতে শুরু করেন বিক্রেতা ও ফড়িয়ারা। এখান থেকে চামড়া যাচ্ছে পোস্তা কিংবা সাভারের চামড়া শিল্পনগরীর আড়তগুলোতে।

তবে দাম নিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে তাদের চলছে বাদানুবাদ। বিক্রেতারা বলছেন, মান অনুযায়ী চামড়ার নায্য দাম মিলছে না। এদিকে দুপুর ১২টা থেকে ইজিবাইক, অটোরিকশায় আশপাশের এলাকা থেকে চামড়া আসতে শুরু করেছে সাভারের চামড়া শিল্পনগরী সংলগ্ন আড়তগুলোতে। চামড়া নিয়ে এখানেও চলছে টানাটানি ও দরকষাকষি। প্রতিপিস গরুর চামড়া মানভেদে ৬০০-৭০০ টাকা দাম হাঁকছেন আড়তদাররা। ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ছাগলের চামড়া।

দাম নিয়ে শুরু হয়েছে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ। আড়ত মালিকদের সংগঠন বলছে, লোকসান এড়াতে সরকার নির্ধারিত দামে চামড়া কিনবেন না তারা। সাভার কাঁচা চামড়া আড়ত মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. এমদাদুল হক (সোহরাব) বলেন, সরকার নির্ধারিত দামে চামড়া কেনা সম্ভব নয়। কারণ, চামড়ার সঙ্গে লবণ ও শ্রমিক খরচ যুক্ত হবে। নির্ধারিত দামে চামড়া কিনলে লোকসান হবে।

উল্লেখ্য, এ বছর চার লাখ পিস চামড়া সংগ্রহ ও সংরক্ষণ হবে হেমায়েতপুরের আড়তগুলোতে। এদিকে ঈদের পর ১০ দিন অন্য জেলার চামড়া ঢাকায় প্রবেশ করতে পারবে না। এর আগে ২৫ মে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর চামড়ার নতুন দাম নির্ধারণ করে সরকার।

গত বছরের তুলনায় এবার গরুর চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুটে বাড়ানো হয়েছে ৫ টাকা। আর খাসি ও বকরির চামড়ার দাম বাড়ানো হয়েছে ২ টাকা করে।ঢাকায় প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম ৬০ থেকে ৬৫ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ঢাকায় সর্বনিম্ন কাঁচা চামড়ার দাম ১ হাজার ৩৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর ঢাকার বাইরে সর্বনিম্ন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ১৫০ টাকা।এ ছাড়া খাসির চামড়ার ক্রয়মূল্য প্রতি বর্গফুট ২২ থেকে ২৭ টাকা এবং বকরির চামড়ার দাম ২০ থেকে ২২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সরকার দাম নির্ধারণ করে দিলেও এর ধারেকাছেও কেনাবেঁচা হচ্ছেনা চামড়ার। শহরগুলোতে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা কুরবানিদাতাদের কাছ থেকে ৩০০-৪০০টাকায় গরুর চামড়া কিনলেও মফস্বল কিংবা গ্রাম পর্যায়ে ১৫০-২০০ টাকাও দাম দিচ্ছেনা ব্যবসায়ীরা। অনেকে তাই বাধ্য হয়ে চামড়া নষ্ট হওয়ার ভয়ে বিনামূল্যে চামড়া দিয়ে দিচ্ছেন ব্যবসায়ীদের।

Tagged:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *