Home / অন্যান্য / জাতীয় / ইউনূস সরকারের ২য় ইনিংসে নিত্যপণ্যের বাজারে একের পর এক সেঞ্চুরি

ইউনূস সরকারের ২য় ইনিংসে নিত্যপণ্যের বাজারে একের পর এক সেঞ্চুরি

মাছ-মাংসের দাম বেশি থাকায় স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য ডিম ও সবজি প্রধান ভরসা হয়ে ওঠে। এই নিত্যপণ্য দুটির বাজারে এখন বেশ অস্বস্তি রয়েছে। ডিমের দাম যেমনি বেড়েছে, তেমনি সব ধরনের সবজির দামও বেশি। ভোক্তাদের অভিযোগ, সরকারের দুর্বল তদারকির কারণে ব্যবসায়ীরা আগের মতো কারসাজিতে লিপ্ত হচ্ছে। নানা ছুতোয় জিনিসপত্রের দাম বাড়াচ্ছে। এতে বেশ বিপাকে পড়ছেন কম আয়ের মানুষেরা। একসময় প্রফেসর ইউনূসের সরকারের অন্যতম সাফল্য হিসেবে সবজির দাম কমাকে বিবেচনা করা হতো।এখন সেই সবজির দামও সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। ইউনূস সরয়াকারের ২য় ইনিংসে এসে নিত্যপণ্যের বাজারে দেখা মিলছে একের পর এক সেঞ্চুরির।

তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, গ্রীষ্মকালীন সবজির উৎপাদন স্বাভাবিকভাবেই কম। তাছাড়া সম্প্রতি বৃষ্টির কারণে সবজির উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে সবজি পচে গেছে। এ জন্য সরবরাহ কম, যা দামকে উস্কে দিচ্ছে। অন্যদিকে সবজির সরবরাহ কম থাকায় ডিমের চাহিদা বাড়ছে। যে কারণে দাম বাড়ছে ডিমের।

তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, গ্রীষ্মকালীন সবজির উৎপাদন স্বাভাবিকভাবেই কম। তাছাড়া সম্প্রতি বৃষ্টির কারণে সবজির উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে সবজি পচে গেছে। এ জন্য সরবরাহ কম, যা দামকে উস্কে দিচ্ছে। অন্যদিকে সবজির সরবরাহ কম থাকায় ডিমের চাহিদা বাড়ছে। যে কারণে দাম বাড়ছে ডিমের।

রাজধানীর আগারগাঁও, মহাখালী ও কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মানভেদে প্রতি কেজি গোল বেগুন ১৩০ থেকে ১৫০ টাকায় আর লম্বা বেগুন ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পটোল, কাঁকরোল, বরবটির কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকায়, উচ্ছে বা করলার কেজি ১১০-১২০ টাকা,শিম ২৫০-২৬০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। লাউ ও কুমড়োর পিচ কিনতে গেলে ক্রেতাকে খরচ করতে হচ্ছে ৭০ থেকে ১০০ টাকা। এছাড়া মানভেদে প্রতি কেজি টমেটো ১৪০ থেকে ১৭০ ও কাঁচামরিচ ২৪০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০টাকায়। ডিমের ডজন এলাকা ভেদে ১৫০-১৬০টাকা।

মহাখালী কাঁচাবাজারের সবজি ব্যবসায়ী আবু বকর বলেন, উৎপাদন এলাকা থেকে কারওয়ান বাজারে সবজি তুলনামূলক কম আসছে। এ জন্য পাইকারিতে সব সবজির দাম বাড়তি। সরবরাহ না বাড়লে দাম কমবে না।কারওয়ান বাজারের সবজি ব্যবসায়ী দুলাল হোসেন বলেন, বৃষ্টির কারণে অনেক জায়গায় সবজির ফলন নষ্ট হয়ে গেছে। এ কারণে সবজি কম আসছে। তাছাড়া কিছু সবজি আছে যেগুলোর এখন মৌসুম নয়। সেগুলোর দাম বেশি।

সবজির দাম বাড়ার প্রভাব দেখা গেছে ডিম ও মুরগির বাজারে। খুচরা পর্যায়ে প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা। পাড়া-মহল্লায় প্রতি ডজন ডিম কিনতে গেলে ক্রেতাকে খরচ করতে হচ্ছে ১৫৫ টাকা। সপ্তাহ দুয়েক আগে ডিমের ডজন ছিল ১৩০ টাকার আশপাশে। ডিমের মতো মুরগির দামও কিছুটা চড়া। গত ১০-১২ দিনে ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় এবং সোনালি মুরগি কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ২৮০ থেকে ৩২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারের ডিম ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বলেন, দুই সপ্তাহ ধরে বাড়ছে ডিমের দাম। ডজন ১৩০ থেকে বেড়ে এখন দেড়শ টাকার কাছাকাছি হয়ে গেছে। পাইকারি পর্যায়ে বাড়ার কারণে খুচরায় দর বাড়তি। তবে প্রতিদিনই বাজারে ভোক্তা অধিদপ্তরের লোকজন আসে। দাম বেশি রাখার সুযোগ নেই।

Tagged:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *