Home / অন্যান্য / জাতীয় / ইউনুস সরকারের সবচেয়ে বড় সংস্কার বাতিলের পথে: এক সপ্তাহও টেকেনি সরকারি চাকরি সংশোধন অধ্যাদেশ

ইউনুস সরকারের সবচেয়ে বড় সংস্কার বাতিলের পথে: এক সপ্তাহও টেকেনি সরকারি চাকরি সংশোধন অধ্যাদেশ

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকারের সবচেয়ে বড় সংস্কার হিসেবে ঘোষিত ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’ এক সপ্তাহের মধ্যেই বাতিলের পথে। সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের তীব্র আন্দোলনের মুখে এই অধ্যাদেশ বাতিলের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হবে বলে জানিয়েছেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ।

প্রধান উপদেষ্টা ৩১ মে দেশে ফিরলে আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।বুধবার সকালে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে সরকারি চাকরি সংশোধন অধ্যাদেশ জারির ফলে সৃষ্ট সংকট নিরসনে গঠিত সাত সচিবের সমন্বিত কমিটি মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে বৈঠক শেষে ভূমি সচিব সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, “আন্দোলনরত সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের দাবিগুলো শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে জানানো হয়েছে। তবে এ বিষয়ে এককভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়। প্রধান উপদেষ্টা দেশে ফিরলে বিস্তারিত আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেবেন।”

পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে ভূমি সচিব বলেন, “এটি এককভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয় নয়। প্রধান উপদেষ্টা ফিরে আলোচনা করবেন। ঈদের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। সিদ্ধান্ত এখন প্রধান উপদেষ্টার ওপর নির্ভর করছে।” সময়সীমা সম্পর্কে তিনি বলেন, “এটি আইনি বিষয়, তাই দ্রুত সমাধান সম্ভব নয়। সময় লাগবে।”অন্যদিকে, সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিষদ আন্দোলন স্থগিত করায় ভূমি সচিব বলেন, “আমরা এখনও তাদের সিদ্ধান্ত জানাইনি। জানালে তারা বুঝবে এবং আন্দোলন স্থগিত রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি। আমাদের কর্মচারীরা অবাধ্য নয়। তাদের হাতেই শেষ কথা।”

আরও পড়ুন: ‘কালো আইন’ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে বিক্ষোভ

সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, “আমরা মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি নিচ্ছি। ভূমি সচিবের সঙ্গে আলোচনার পর পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করব, কারণ পূর্বের আলোচনায় আমরা অন্তর্ভুক্ত ছিলাম না।”ভূমি সচিব আরও বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা দেশে ফিরে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেবেন। বিস্তারিত তখনই জানা যাবে। ততক্ষণ আমরা মন্তব্য করব না।”এই ঘটনা ইউনুস সরকারের সংস্কার উদ্যোগে বড় ধরনের ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে। মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে এমন গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশ বাতিলের পথে যাওয়ায় সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *