
‘প্রশাসনকে বাধ্য করতে ঐক্যের ডাক’ শীর্ষক এক ভিডিও বার্তায় চট্টগ্রাম দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক ইদ্রিস মিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ওসিকে উদ্দেশ করে বলেছেন আমাদের কথা না শুনলে ইউএনও-ওসিগিরি করা যাবে না।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও পটিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইদ্রিস মিয়া আরো বলেছেন, ঐক্যবদ্ধ হলে প্রশাসন বাধ্য হবে বিএনপির কথা শুনতে। না শুনলে ইউএনও-ওসি পদের দায়িত্ব ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে যেতে হবে। তাদের আর সুযোগ দেওয়া যাবে না, অনেক সুযোগ দিয়েছি আমরা। আর নয়।এই বক্তব্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যা আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অন্যান্য দলের নেতৃবৃন্দ নিন্দা জানান এমন বক্তব্যে। এমন বক্তব্য প্রশাসনকে স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজে বাধা দিবে বলে মনে করেন তারা।ভিডিওতে দেখা যায়, ইদ্রিস মিয়ার পেছনে ঈদ পুনর্মিলনীর ব্যানার টাঙানো। ব্যানারে সাতকানিয়া সাংগঠনিক ইউনিট বিএনপির নাম লেখা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার বিকেলে সাতকানিয়া উপজেলা বিএনপির সব সাংগঠনিক ইউনিটের যৌথ উদ্যোগে একটি স্থানীয় কমিউনিটি সেন্টারে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ইদ্রিস মিয়া। তখনই এমন বক্তব্য দেন তিনি।
তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইদ্রিস মিয়া সাংবাদিকদের সামনে ইউএনও ও ওসিকে নিয়ে এমন কোনো বক্তব্য দেননি বলে অস্বীকার করেন।উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২রা ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আংশিক আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। এতে ইদ্রিস মিয়াকে আহ্বায়ক করা হয়। পরে ৬ই মে ৫৪ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
এর আগে তিনি একই জেলার বিএনপির সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।ঐ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্যসচিব লায়ন হেলাল উদ্দিন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আব্বাস, যুগ্ম আহ্বায়ক মিসকাতুল ইসলাম চৌধুরী বাপ্পা, আজিজুল হক চৌধুরী, আসহাব উদ্দিন চৌধুরী, নুরুল আনোয়ার চৌধুরী, রেজাউল করিম চৌধুরী নেছার, সাইফুদ্দিন সালাম মিঠু প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।