
বাংলাদেশের নারী ফুটবল জাতীয় দলের অনূর্ধ্ব-১৯ খেলোয়াড় পারভীন সুলতানার উপর মহেশখালীতে নৃশংস হামলার ঘটনা দেশজুড়ে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত একটি পোস্টে অভিযোগ করা হয়েছে, ধর্মীয় গোঁড়ামির কারণে পারভীনের বাম পায়ের রগ কেটে এবং ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত করা হয়েছে।
এই ঘটনা নারী ফুটবলারদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে চলমান বাধা ও নির্যাতনের একটি মর্মান্তিক উদাহরণ।পারভীন সুলতানার উপর হামলার বিস্তারিতসামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত তথ্য অনুযায়ী, মহেশখালীতে পারভীন সুলতানার উপর হামলাকারীরা তাকে ফুটবল খেলার জন্য লক্ষ্যবস্তু করেছে।অভিযোগে
অভিযোগে বলা হয়, হামলাকারীরা ‘ফুটবল খেলা ইসলামে হারাম’ দাবি করে তার বাম পায়ের রগ কেটে দিয়েছে, যিনি জাতীয় দলের একজন স্ট্রাইকার হিসেবে পরিচিত। এই হামলায় পারভীনের ফুটবল ক্যারিয়ার এবং জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে এই ঘটনার বিষয়ে পুলিশ বা স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি পাওয়া যায়নি।
নারী ফুটবলারদের বিরুদ্ধে বাধা ও নির্যাতনের ইতিহাসবাংলাদেশে নারী ফুটবলারদের বিরুদ্ধে বাধা ও নির্যাতনের ঘটনা নতুন নয়। ধর্মীয় গোঁড়ামি, সামাজিক রক্ষণশীলতা, এবং অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে নারী ফুটবলাররা বারবার নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছেন। কিছুদিন আগে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার তিলকপুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে নারী ফুটবল ম্যাচ আয়োজনের প্রস্তুতি চলাকালে স্থানীয় একদল মুসল্লি ও মাদ্রাসার ছাত্ররা মাঠের টিনের বেড়া ভাঙচুর করে এবং ম্যাচ বাতিলের দাবি জানায়। এ ঘটনার পর জেলা প্রশাসন তদন্ত কমিটি গঠন করে, এবং অভিযুক্তরা ক্ষমা চেয়ে নারী ফুটবল ম্যাচে বাধা না দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়।